যখন পৃথিবীর সর্বাধিক প্রজাতি ধ্বংস হয়েছিল ...

আপনি যা দেখছেন, আমরা নিশ্চিত হয়ে উঠব অতীত। পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বও এর অন্তর্ভুক্ত। একদিন এটি অতীতও হয়ে যাবে। কিন্তু যখন?

আপনি এটি বিশ্বাস করতে পারেন না, তবে জীবাশ্মগুলির অধ্যয়ন অনুসারে, পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন বছর অবধি রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, পৃথিবী অনেক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে - হিমায়িত হওয়া বা মহাকাশের পাথরের সাথে সংঘর্ষ, প্রাণীদের ব্যাপক বিষক্রিয়া, বিকিরণ সবকিছুকে ছাই করে ফেলেছে…।

এটা স্পষ্টতই যে জীবন এমন গুরুতর বিপদ ডেকে আনে, তবুও পৃথিবী থেকে জীবনের অস্তিত্ব পুরোপুরি হারাবে না।

তবে পৃথিবীতে এই পৃথিবীর সমাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে… সম্ভবত পুরো পৃথিবী বন্ধ্যাভূমিতে রূপান্তরিত হবে। তবে কী হতে পারে? পৃথিবীতে জীবন কত দিন থাকবে? পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের সাথে যুক্ত সম্ভাবনা এবং ভয় সম্পর্কে এক নজরে:

আগ্নেয়গিরির ধ্বংস
25 মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে জীবন প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। মাটিতে প্রায় 85 শতাংশ প্রজাতি ধ্বংস হয়েছিল, তবে প্রায় 95 শতাংশ প্রজাতি সমুদ্রে ধ্বংস হয়েছিল।

ঘটনাটি কারও কাছে পরিষ্কার নয়। এটি স্পষ্টভাবেই জানা যায় যে আগ্নেয়গিরির মধ্য থেকে বেরিয়ে আসা লাভাটি ব্রিটেনের আকারের চেয়ে আটগুণ বড় ছিল।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি পৃথিবীতে কোথায় ঘটে?

নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাস্লো-এর হেনরিখ সুইভেন বলেছেন, "গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে বিশাল আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে প্রজাতির ধ্বংস পৃথিবীর পৃষ্ঠে যেখানে বিস্ফোরিত হয়েছিল তার উপর নির্ভর করে। কয়েক মিলিয়ন বছর আগে বড় ঘটনা ঘটেছিল A পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে ওজোন ধ্বংসকারী রাসায়নিক অবশ্যই অবশ্যই মুক্তি পেয়েছিল। পৃথিবীতে প্রজাতিগুলি ক্ষতিকারক বিকিরণগুলি সহ্য করতে পারেনি এবং ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। "

কিন্তু সেই সময়েও, ব্যাকটিরিয়ার মতো একটি 'সেল' প্রাণী শেষ হয় নি। সে কারণেই বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে এই পরিস্থিতিতেও জীবন পুরোপুরি অদৃশ্য হবে না।

গ্রহাণু সংঘর্ষের বিপদ
এটি সাধারণ তথ্য যে গ্রহাণুগুলির সাথে সংঘর্ষের কারণে পৃথিবী থেকে ডাইনোসর প্রজাতিটি শেষ হয়েছিল। বিশাল গ্রহাণুটির সাথে সংঘর্ষের মাধ্যমে যদি কোনও বিশাল ডাইনোসর হারিয়ে যেতে পারে তবে দ্বিতীয় সংঘর্ষে পৃথিবীর জীবনও ধ্বংস হতে পারে।

যাইহোক, এটি গ্রহাণুর সংঘর্ষ কোথায় সংঘটিত হবে তার উপর নির্ভর করবে? কিছু বড় গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানা নিশ্চিত, কিন্তু এটি পৃথিবীতে জীবন শেষ করেনি। গ্রহাণু ধ্বংসকারী ডাইনোসরকে যত বড় আকারের একটি আকাশের দেহের সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষ একটি বিরল উদাহরণ।

এ জাতীয় বৃহত স্বর্গীয় দেহ 500 মিলিয়ন বছরের ব্যবধানে পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এমনকি গ্রহাণু পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষিত হলেও, পৃথিবীতে জীবন সম্পূর্ণরূপে শেষ হবে না। যাইহোক, যখন কোনও গ্রহ-আকৃতির দেহ পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষিত হয় তখন এটি আরও বেশি সম্ভব।

যখন পৃথিবীর কেন্দ্র জমে যাবে
পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দুতে জমে জীবনও শেষ হতে পারে। 2003 সালে হলিউডে 'দ্য কোর' নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল। এই ছবির গল্পটি হ'ল - পৃথিবীর কেন্দ্রটি ঘূর্ণন বন্ধ করে, তারপরে মার্কিন সরকার পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত ড্রিলিং দিয়ে ঘূর্ণনটি সংশোধন করার চেষ্টা করে।

একটি সক্রিয় কোর না থাকার কারণে, পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি শেষ হয়ে যাবে এবং এটি পৃথিবীর পুরো জীবনকে হুমকিতে ফেলতে পারে।

একবার মঙ্গল গ্রহের নিজস্ব চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ছিল যা এটি হেরে গিয়েছিল। পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র দুর্বল হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই হ্রাসটি দিক পরিবর্তনের কারণে হয়েছে, এটি হচ্ছে না। কয়েক মিলিয়ন বছরে, এই ধরনের পার্থক্য আসতেই থাকে।

তবে বড় প্রশ্ন পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যাবে কিনা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিচার্ড হ্যারিসনের মতে বর্তমানে কোনও আশা নেই।

গামা রশ্মি বিস্ফোরণ
সময়সীমা - বাইনারি তারা দুটি কেন্দ্র যা একই কেন্দ্রের চারদিকে ঘোরে। পৃথ্বীর বাইনারি তারকা রয়েছে ডাব্লুআর 104।

যখন বাইনারি নক্ষত্রের কেন্দ্রে শক্তি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং নিজেই সঙ্কুচিত হয়ে যায়, তখন গামা রশ্মির একটি ব্যারেজ তৈরি হয়, যা বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর জীবন ধ্বংসাত্মক।

পৃথিবীর প্রতিবেশী ডাব্লুআর 104 প্রায় পাঁচ লক্ষ বছরে এ জাতীয় গামা রশ্মির ব্যারেজ তৈরি করতে পারে এমন সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত পৃথিবী এ থেকে বাঁচতে পারে।

যাইহোক, আমরা কি মহাবিশ্বে একা আছি? যদি তা না হয় তবে আমরা কেন এলিয়েনের সভ্যতার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি? উপায় দ্বারা, গামা রশ্মির বিস্ফোরণ দ্বারা পৃথিবীর জীবন শেষ হতে পারে।

বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাউল জিমনেজ বলেছেন, "গামা রশ্মি বৃষ্টি হলে পৃথিবীর জীবন সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যায়। পৃথিবী যদি কোনওভাবে গঙ্গার কেন্দ্রের কাছাকাছি পৌঁছে যায় তবে পৃথিবীর জীবন ধ্বংস হতে পারে।"

ইলিনয়ের বাতাভিয়ার ফার্মিলাবের জেমস এনিসের মতে, গামা রশ্মির বিকিরণ পৃথিবীতে আঘাত করলেও জীবন সম্পূর্ণরূপে শেষ হবে না, কারণ সমুদ্রের জল বিকিরণ শোষণের জন্য একটি ভাল বিকল্প a

যদিও মানুষের নাম পৃথিবী থেকে মুছে ফেলা হবে, তবে অন্যান্য প্রাণী এবং প্রাণী থাকবে।

ঘুরে বেড়ানো তারকারা
কোটি কোটি বছর ধরে, আমাদের গ্রহটি সৌরজগতে সূর্যের চারদিকে ঘোরে। তবে কোনও তারকা কাছে এলে কী হবে। নিউ ইয়র্কের রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিক মামেজাকের নেতৃত্বে ফেব্রুয়ারী 2015-এ করা গবেষণাগুলি বলেছে যে এটি সম্ভব এবং এটিও বলা যেতে পারে যে খুব শীঘ্রই এটি ঘটতে পারে।

জার্মানির জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের কোরিয়ান বেলার জোন্স

দু'টি তারা সমস্যার কারণ হতে পারে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এইচআইপি 85605 আমাদের পাড়ায় রয়েছে যাতে এটি পৃথিবীতে ২.৪ লক্ষ বছর থেকে ৪.7 লক্ষ বছরের মধ্যে পৌঁছতে পারে। জিএল 710 13 লক্ষ বছরে পৃথিবীর কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

মামেজাকের মতে, জিএল 710 একটি বড় তারকা এবং হিপ 85605ও। সুতরাং তারা কি পৃথিবীর জীবনকে বিপন্ন করবে?

এই জাতীয় তারা সৌরজগতে প্রবেশের সময় বিপজ্জনক হতে পারে। তবে এর আশঙ্কাও খুব কম। বয়লার-জোনসের মতে, "একটি বাইরের তারা পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ সৌরজগতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কম is"

জীবন থেকে বিপদ অন্য কিছুর দ্বারা নয়
ওয়াশিংটনের সিয়াটল-ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিটার ওয়ার্ডের মতে, জীবনের সবচেয়ে বড় বিপদ নিজেই। প্রায় ২.৩ বিলিয়ন বছর আগে আলোকসংশ্লিষ্ট জীবনের কারণে প্রচুর অক্সিজেন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছিল।

জীবাণু পৃথিবীতে বাস করত, যা কখনই অক্সিজেনের জন্য ব্যবহৃত হত না। এত বড় পরিমাণে অক্সিজেনের কারণে পৃথিবীতে প্রচুর জীবন ধ্বংস হয়ে যায়।

ওয়ার্ডের মতে, সূর্য উষ্ণ হচ্ছে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রাও বাড়ছে। এ কারণে মালভূমি এবং বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন ডাই অক্সাইডের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়াও বাড়ছে।

কার্বন ডাই অক্সাইড হ্রাসের কারণে গাছপালা আলোকসংশোধনে সক্ষম হবে না। গাছপালা শেষ হওয়ার সাথে সাথে জীবনও শেষ হবে।

রৌদ্র ছড়িয়েছে
উপরোক্ত আশঙ্কা যদি নিরবচ্ছিন্ন হিসাবে প্রমাণিত হয়, তবে জীবন সূর্যের কারণে শেষ হবে। সূর্য কেবলমাত্র জীবনের শক্তি হিসাবে পৃথিবীতে আলো প্রেরণ করে, তবে এর সম্পর্কটি সর্বদা বন্ধুত্বপূর্ণ হয় না।

আমরা দেখেছি যে সূর্য নিয়ত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এমন সময় আসবে যে পৃথিবীর সমুদ্র শুকিয়ে যাবে। গ্রিন হাউস প্রভাবের কারণে তাপমাত্রাও বাড়বে। এটি এক বিলিয়ন বছরে শুরু হবে।

তবে এখানে সবকিছু শেষ হবে না। এখন থেকে মাত্র 5 বিলিয়ন বছর আগে সূর্য ছড়িয়ে পড়তে শুরু করবে। ফোলা নক্ষত্রের আকারে এটি 7.5 বিলিয়ন বছরে পৃথিবীকে গ্রাস করবে।

তবে, আশা করা হচ্ছে যে পৃথিবী এখনও রক্ষা পেতে পারে কারণ সূর্যের বিস্তারজনিত কারণে এর ওজন হ্রাস পাবে, এক্ষেত্রে পৃথিবীর অংশ সূর্যের দ্বারা আঘাত হ্রাস এড়াতে পারে case তবে ২০০৮ সালের অনুমান অনুসারে, এ সত্ত্বেও, পৃথিবী টিকবে না।

যদি এটি ঘটে থাকে তবে এটি এড়াতে কেবল একটি উপায় থাকবে, আমাদের এমন কৌশল রয়েছে যা আমরা পৃথিবীকে সুরক্ষার হাত থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারি। যদি এটি না করা হয় তবে পৃথিবীর সর্বাধিক আয়ু হবে 7.5 বিলিয়ন বছর।